tela poka asholei more na !! dianosour er jug theke chole ashtese..dinosour shob more fossil hoye gese telapoka beche ase..
ei rokom e mone hoilo maulana matiur rahman nijami er chara pawa dekhe..71 e bohal tobiote silo akhono care taker govt er shomoy o ase poreo thakbe !!
jotto shob .. is it wrong to compare thos 'rajakar's with 'telapoka'?
http://www.prothom-alo.com/archive/n...7&nid=MTc1MTA=

জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ভাগ্যবান। গত বছর দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর তাঁর মতো করে আর কোনো রাজনৈতিক নেতা এত দ্রুততার সঙ্গে জামিন পেয়ে মুক্তি পাননি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪ জুলাই বিচারপতি শরীফ উদ্দিন চাকলাদার ও বিচারপতি মো. ইমদাদুল হক আজাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সাত রাজনৈতিক নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু বাস্তবে জামিনে ছাড়া পান শুধু নিজামী।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সংবিধানের ১০৭ (৩) অনুচ্ছেদের আওতায় বেঞ্চ গঠন-পুনর্গঠন করেন। তিনিই বেঞ্চের মামলা নিষ্কপত্তির এখতিয়ার নির্ধারণ করেন। সুত্র জানায়, ১৪ জুলাই ওই বেঞ্চ মতিউর রহমান নিজামীকে শুধু জামিন দেন। আর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, মজিবর রহমান সরোয়ার ও ইসমত আরা এবং আবদুল কাইউমকে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি নিম্ন আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে চলা মামলার বিচারকাজ স্থগিত করেন ওই বেঞ্চ। একই বেঞ্চ যুবলীগ নেতা মির্জা আজমকে তাঁর মামলায় ১০ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। এই নয়জনই জরুরি ক্ষমতা বিধিমালার আওতায় দুদকের দায়ের করা মামলার আসামি।
হাইকোর্ট বিভাগের ওই বেঞ্চের গঠনবিধিতে দেখা যায়, বেঞ্চের আসন গ্রহণের শর্তে প্রধান বিচারপতি ২০০৭ সালের জরুরি ক্ষমতা বিধিমালা ছাড়া অন্য আইনের মামলায় জামিন আদেশ বিবেচনার এখতিয়ার দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে গতকাল দুপুরে লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির বিবেচনার জন্য পেশ করার পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, "যদি কোনো বেঞ্চ এমন এখতিয়ারের অনুশীলন করেন, যা তাঁদের নেই, তাহলে তাঁদের আদেশ অবৈধ ও বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ওই বেঞ্চের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আসলে ছিল কি না, সে বিষয়ে এ মুহুর্তে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।"
উল্লেখ্য, এর আগে জামিন প্রদানে আপিল বিভাগ একটি নির্দেশনা দেন। নিজামীর জামিন আবেদন বিবেচনায় তার কোনো উল্লেখ ওই বেঞ্চের দুই পৃষ্ঠার আদেশে নেই।
ব্যতিক্রম: হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার রেকর্ডে দেখা গেছে, ১৪ জুলাই হওয়া জামায়াত নেতা নিজামীর জামিন আদেশসংক্রান্ত ফাইল পরদিনই এসেছে এবং ওই দিনই তা জারি হয়েছে (ডেসপাচ নং-৪৭৪৬০)। কিন্তু একই দিনে মির্জা আজমের বিষয়ে দেওয়া আদেশের ফাইল এসেছে ১৬ জুলাই (ডেসপাচ নং-৪৮১৪৩)। রেদোয়ান আহমেদ ও মমতাজ আহমেদের জামিনসংক্রান্ত ফাইলও এসেছে ১৬ জুলাই (ডেসপাচ নং যথাক্রমে ৪৮১৫৪ ও ৪৮১৪৮)।
ওকালতনামা-রহস্য: হাইকোর্টের যেকোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যেতে হলে ওকালতনামা লাগে। সরকারের পক্ষে এই ওকালতনামায় সই করেন সলিসিটর। আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর শাখা অ্যাটর্নি জেনারেলের ভবনেই অবস্িথত। অ্যাটর্নি জেনারেল ও সলিসিটর অফিসের রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা যায়, অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে ওকালতনামা কিছুদিন আগে প্রায় ফুরিয়ে যায়। কিন্তু সলিসিটর উইং থেকে তার সরবরাহে অস্বাভাবিক ছেদ পড়ে। একসঙ্গে ২০০ ওকালতনামায় সই দিয়ে অ্যাটর্নির দপ্তরে মজুদ রাখারও নজির আছে।
১৪ জুলাই নিজামীর মামলার শুনানি শুরুর আগেই লিখিতভাবে সলিসিটরকে ৫০টি ওকালতনামা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পত্র দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ জুন সইয়ের জন্য ২৫টি ওকালতনামা পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তা ফেরত আসেনি। সলিসিটরের অফিস সুত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন সলিসিটর বদল করায় এ বিঘ্ন ঘটেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আপিল করার জন্য তাঁদের কাছে ওকালতনামা ছিল না।
টাইপ হয়েছে দ্রুত: হাইকোর্টের কোনো বেঞ্চ যে তারিখে কারও জামিন আদেশ দেন, সাধারণত সেদিনই তা সই হয় না। প্রকাশ্য আদালতে দ্বৈত বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আদেশ ঘোষণা করেন। কর্মকর্তারা তার নোট নেন। সে নোট টাইপ হওয়ার পর সইয়ের জন্য দুই কপি উভয় বিচারপতির কাছে পেশ করা হয়। অনেক সময় তাঁরা তাতে সংশোধনী আনেন। তাঁদের যৌথ স্বাক্ষরিত আদেশ এরপর সংশ্লিষ্ট শাখায় যায়। এই প্রক্রিয়ায় অনেকের জামিন আদেশসংক্রান্ত ফাইল শাখায় যেতে কয়েক দিন, ক্ষেত্রবিশেষে সপ্তাহও লেগে যায়। জনাব নিজামীর ক্ষেত্রে সে রকম কিছু ঘটেনি।
অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর নিষ্কিত্র্নয়: গত ১৬ মাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড (এওআর) ছিলেন খালেকুজ্জামান। তিনি একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলও বটে। সাধারণত সরকার যেসব মামলার ক্ষেত্রে বেশি তৎপর থাকে, সেগুলোর ক্ষেত্রে নির্দেশিত হয়ে এওআররা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। ১৫ জুলাই জনাব খালেকুজ্জামান হজ লাইসেন্স বাতিলসংক্রান্ত ১৪টি মামলার সিএমপি (ফৌজদারি বিবিধ মামলা) দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, "১৫ জুলাই দুপুর দুইটার পরে আমি নিজামী সাহেবের মামলার নথি পাই। আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সে নথি ফেরত পাঠাই। কারণ এ মামলা প্রস্তুত করা আমার পক্ষে ওই দিন সম্ভব ছিল না।" তিনি অবশ্য যুক্তি দেন, "এমনিতেও আমি আপিল করতে পারতাম না। আমার কাছে ওকালতনামা ছিল না।" তিনি ওই জামিন আদেশের নকল চেয়েও দরখাস্ত দেননি। ওই দিন বেলা সাড়ে চারটায় দায়িত্ব পান আরেক এওআর জহিরুল ইসলাম। তিনি পরদিন আপিলের প্রস্তুতি নেন।
ক্রমিকের ফাঁদ: ফৌজদারি বিবিধ মামলার ক্রমিক না থাকলে আপিল করা যায় না। আর এই ক্রমিকের জন্য জামিন আদেশসংক্রান্ত ফাইল সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে ফৌজদারি বিবিধ শাখায় পৌঁছাতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের নিচতলায় ফৌজদারি বিবিধ শাখা। জামিনের আদেশের ফাইল নামলে এখানেই ওই মামলার ক্রমিক রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু অভিযোগ পাওয়া গেছে, নিজামীর ফাইল এলে সেটি রেজিস্টারভুক্ত হয়নি। অথচ একটি ক্রমিক দিয়ে বিচারিক আদালতে জামিন আদেশ ঠিকই দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছানো হয়। নিজামী সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় মুক্তি পান।
এওআর জনাব জহিরুলের তরুণ সহকারী মনির বলেন, "১৫ জুলাই বিকেলেও ওই শাখায় গিয়ে শুনেছি ফাইল নামেনি।" জানা গেছে, ওই দিন দুপুরের দিকেই সংসদ ভবনের বিশেষ আদালত জামিনের আদেশ পেয়ে জানতে চান এর বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে কি না।
মনির উল্লেখ করেন, "আমি পরদিন সকাল সাড়ে নয়টায় ফৌজদারি শাখায় যাই। ক্লার্ক হাবিবুর রহমান জানান, রেজিস্ট্রারের অনুমতি ছাড়া তিনি ক্রমিক জানাতে পারবেন না। তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে তর্ক হয়। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের এমএলএসএস মান্নানকে ডেকে আনেন মনির। তারপর ক্রমিক মেলে। গতকাল সন্ধ্যায় অবশ্য হাবিবুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অবশেষে ১৬ জুলাই সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন জমা পড়ে। চেম্বার জজের আদালতে এর শুনানি হবে আগামী রোববার। ওই দিন এওআর জহিরুল বেলা সাড়ে ১১টায় অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, চেম্বার জজের কাছে জামিন আদেশ স্থগিত করার জন্য বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল জবাবে বলেন, "যেহেতু তিনি ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, তাই বিশেষ অনুমতি না নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে আপিল শুনানির ব্যবস্থা করুন।"
অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের বক্তব্য: কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইন কর্মকর্তা বলেন, সরকারের নির্দেশ থাকলে কী ঘটে, তা বুঝতে হবে। শেখ হাসিনার চাঁদাবাজির মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল হাইকোর্টের রায়ের এক ঘণ্টার মধ্যেই চেম্বার জজের কাছে রায় স্থগিতের আবেদন করেন। এর আগে অনেকের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট থেকে জামিন আদেশ দেওয়ার পরপরই রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজের কাছে ছুটে যায়। যুক্তি দেওয়া হয়েছে, হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ মর্মে এওআরের সার্টিফিকেট বিচারিক আদালতে পাঠিয়ে এ রকম জামিন আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের অনুরোধ করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী বিচারিক আদালত বেইলবন্ড দাখিলের অনুমতি স্থগিত রেখেছেন। এই প্রক্রিয়া নিজামীর ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়নি। সরকারের তরফে দ্রুত আপিলের কোনো নির্দেশনাই ছিল না। বরং জামায়াত নেতার মুক্তির জন্য বাড়তি শক্তি ও সতর্কতা কাজ করেছে বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
সূত্র : প্রথম আলো
কৃতজ্ঞতা : মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক